আশা করি সবাই ভালো আছেন ।।
##চমৎকার একটি পোস্ট আবার লিখতে বসলাম ।
বেশী কথা বলব না কারণ পোস্ট টা এমনিতেই অনেক বড় হয়ে যাবে তাই কথা বাড়ালাম না ।
*
*
##ডেটার যে দাম, তাতে
একটুখানি কচ্ছপগতির ফ্রি ওয়াইফাইও অনেকের জন্য অমৃত সমতুল্য।
##কিন্তু এই অমৃতের মধ্যেও যে গরল থাকতে পারে, তা আজকাল পথেঘাটে, রেস্টুরেন্টে এবং
বিভিন্ন পাবলিক
প্লেসে ফ্রি ওয়াইফাই
পাওয়া যায়।
দুর্মূল্যের এই যুগে মোবাইল কখনো ভেবে
দেখেছেন? হ্যাঁ, ফ্রি
ওয়াইফাই আপনার গোপন
তথ্য চুরি করে নিতে
পারে, এমনকি অনলাইন
একাউন্ট হ্যাকও করতে
পারে। কিন্তু তাই বলে
কি আমরা ফ্রি ওয়াইফাই
ব্যবহার করবনা? অবশ্যই
করব, নিচের নিরাপত্তা
টিপসগুলো মেনে তবেই।
##চলুন জেনে নিই ফ্রি
ওয়াইফাই ব্যবহারের
ক্ষেত্রে অবশ্যপালনীয়
কিছু নিরাপত্তা কৌশল।
অনলাইন ব্যাংকিং
থেকে বিরত থাকুন
বাস ষ্টেশনে কিংবারেস্টুরেন্টের মধ্যে ফ্রিওয়াইফাই যেনোমরুভূমির বুকে এক বোতলঠাণ্ডা মিনারেলওয়াটার, তাইনা? কিন্তুএকটু ধীরে আগাতে হবে।ফ্রি ওয়াইফাই অনেকসময়ফাঁদও হতে পারে। ফ্রিওয়াইফাই নেটওয়ার্কেযুক্ত হয়ে কখনোই অনলাইনব্যাংকিং কিংবাডেবিট/ক্রেডিট কার্ডনম্বর ব্যবহার করেকোনো অনলাইনট্র্যানজেকশন করবেন না।কারণ, ওয়াইফাইনেটওয়ার্কে যদিকোনো দুর্বৃত্তকারীথাকে, তবে তারাআপনার ব্যাংক বাকার্ডের তথ্য নিয়ে
আপনার ব্যাংক একাউন্টখালি করে দিতেপারে।
ভিপিএন ব্যবহার করুন
ভিপিএন হচ্ছে ভার্চুয়ালপ্রাইভেট নেটওয়ার্ক,যার মাধ্যমে আপনিআলাদা আইপি এড্রেসেরমাধ্যমে যেকোনোওয়েবসাইট ভিজিট করতেপারবেন। ফলে ফ্রিওয়াইফাইয়ের পাবলিকআইপি এড্রেস আপনারদরকার হবেনা। এটাআপনার ব্যক্তিগত তথ্যকেও নিরাপদরাখবে।
নেটওয়ার্ক সেইভ করবেন না
মোবাইল ডিভাইস এবংকম্পিউটার অনেক সময়তাদের সাথে সংযুক্তওয়াইফাই নেটওয়ার্কেরনাম সংরক্ষণ করে রাখেএবং পরবর্তীতেস্বয়ংক্রিয়ভাবেসেগুলোর সাথে যুক্ত হয়।এই কাজটি কখনোইকরবেন না। কারণ,দুষ্কৃতিকারীরাঅনেকসময় ফ্রি ওয়াইফাইহটস্পটের নাম নকল করেআপনার ডিভাইসেরসাথে অটো-কানেক্টেডহতে পারে এবং নিজস্বএক্সেস পয়েন্টেরমাধ্যমে আপনারপ্রাইভেসির বারোটাবাজিয়ে দিতে সক্ষম।
নেটওয়ার্কের নাম খেয়াল করুন
অনেক সময় জনপ্রিয়কোনো ফ্রি ওয়াইফাইহটস্পটের আশেপাশেদুর্বৃত্তরা কাছাকাছিনামের অন্য কোনোফ্রি ওয়াইফাই হটস্পটখুলে ফাঁদ পাতে। তাই এইফাঁদ থেকে বাঁচতেনেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ারআগে এর নাম সম্পর্কেনিশ্চিত হয়ে নিন!
অথেনটিকেশন
কিছু কিছু ফ্রি ওয়াইফাইহটস্পটে যুক্ত হতে হলে
ফোন নাম্বার দিতে হয়এবং এরপর এসএমএসেরমাধ্যমে ফোনে একটিপাসওয়ার্ড/কোড আসেযেটা দিয়েনেটওয়ার্কে যুক্ত হতেহয়। এরকম নেটওয়ার্কঅপেক্ষাকৃত নিরাপদ,কেননা হ্যাকাররাসাধারণত এত আয়োজননিয়ে বসে থাকেনা।তারা হয়ত এমননেটওয়ার্ক দেবেযেটাতে যুক্ত হতেকোনো কোড বাপাসওয়ার্ডের দরকারইহয়না।
এন্টিভাইরাস অ্যাপ
ডিজিটাল নিরাপত্তাবিঘ্নিত করতে নিত্যনতুনপন্থা বের হচ্ছে। এগুলোমোকাবেলা করার জন্যওআছে অনেক উপায়। আপনিযদি একটি এন্টিভাইরাসব্যবহার করেন, তাহলেঅনিরাপদ নেটওয়ার্কেসেটি আপনার জন্য ঢালহিসেবে কাজ করতেপারে।
অপ্রয়োজনে ওয়াইফাই চালু না রাখা
আপনি যদি ইন্টারনেটব্যবহার না করেন, তবেফোনের ওয়াইফাই বন্ধকরে রাখুন। এতেব্যাটারি চার্জবাঁচবে। এছাড়াপ্রতারণামূলক অটো-কানেক্ট নেটওয়ার্কেরহাত থেকেও রেহাইমিলবে।
##আশা করি এই টিপসগুলো আপনার কাজে লাগবে।
Comments
Post a Comment